নাজমুল আহসান

সাংস্কৃতিক কর্মী, সংগঠক, প্রশিক্ষক এবং আবৃত্তিশিল্পী। বাংলাদেশের দক্ষিনে বাগেরহাট জেলায় জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এখানেই। এখানকার সাংস্কৃতিক পরিবেশ বরাবরই সমৃদ্ধ। তাই পরিবার এবং পরিবেশ শুদ্ধ সংস্কৃতির বীজ বুনে দিয়েছে সেই বেড়ে ওঠার সময়েই।

আবৃত্তির সাথে ভালোবাসা সেই কৈশোর থেকে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করে ঐ বয়সেই পেয়েছেন প্রশংসা। ফলশ্রুতিতে কৈশোরের ভালবাসা ‘আবৃত্তি’র সংগে ধীরে ধীরে যুক্ত হয়েছে প্রগাঢ় অনুরাগ আর গভীর মমতা।
বাগেরহাট থিয়েটারের নাট্যকর্মী হিসেবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যাত্রা শুরু আশির দশকে। যতটা না আগ্রহ ছিলো অভিনয়ে, তার থেকে বেশী মঞ্চের নেপথ্য কাজে। তবে বাগেরহাট থিয়েটারের পরিবেশনায় অথবা বাগেরহাটের যে কোন আবৃত্তি অনুষ্ঠানে নাজমুল আহসানের আবৃত্তি ছিলো অনিবার্য। আশির দশকে শুরু হয়েছিলো যে যাত্রা নব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সেই যাত্রা হলো আরো বেগবান। আর এই নিরবিচ্ছিন্ন পথ পরিক্রমায় নাজমুল আহসানের কৈশোরের ভালোবাসা ‘আবৃত্তি’ শানিত হয়েছে এবং তার বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কন্ঠের আবৃত্তি এনেছে ভিন্ন মাত্রা, দিয়েছে নতুন দ্যোতনা। ঢাকার আবৃত্তি সংগঠন স্বনন এর সংগে যুক্ত হলেন ১৯৯১ সালে। বিস্তৃত হলো পরিধি। অনুশীলন মেধা মনন আর সৃষ্টিশীলতার সমন্বিত প্রয়াসে নাজমুল আহসান হয়ে উঠলেন আরো বিদগ্ধ এক শুদ্ধতম আবৃত্তিকার। আবৃত্তি চর্চার যে বিশাল ক্ষেত্র আজ নির্মিত সেই বির্নিমানে নাজমুল আহসানও একজন কর্মনিষ্ঠ শ্রমিক।

সাংগঠনিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাগেরহাট থিয়েটার প্রযোজিত ২০ টির অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। অংশগ্রহন করেছেন নাট্যকর্মশালা, গ্রাম থিয়েটার নাট্যকর্মশালা এবং আবৃত্তি কর্মশালায়। গ্রাম থিয়েটারের খুলনা অঞ্চলের সমন্বয়করী হিসাবে নাটকের কাজ নিয়ে ছুটেছেন বিভিন্ন অঞ্চলে। বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র ‘দক্ষিন বাংলা’তে সাংবাদিকতা করেছেন প্রকাশনার শুরুর দিকে। সেই সময় সাহিত্যচর্চায়ও সময় কাটতো অনেকটা। পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। সম্পাদনা করেছেন বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত লিটল ম্যাগ ‘প্রতিধ্বনি’ ও ‘চোখ’।

প্রকাশিত আবৃত্তি এলবাম

সাংগঠনিক সদস্য

Some Performance

Subtitle will go here

আজই রেজিস্ট্রেশন করুন

A short introduction to the workshop instructors and why
Scroll to Top